প্রচ্ছদ

আজ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতে বাংলাদেশী ব্যান্ডউইথ রপ্তানি শুরু হল

১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ২৩:৩৯

ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার

12705170_1261933320513754_2611927857114805746_nকূটনৈতিক ও রাজনৈতিক পথে প্রায় চার বছরের কথা চালাচালির পর অবশেষে ভারতে রপ্তানি শুরু হয়েছে বাংলাদেশের ব্যান্ডউইথ। ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় ত্রিপুরা রাজ্যে সোমবার থেকে ব্যান্ডউইথ রপ্তানি শুরু হয়।
বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল) জানিয়েছে, ১লা ফেব্রুয়ারি ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড (বিএসএনএল) পরীক্ষামূলকভাবে ২০০ এমবিপিএস ব্যান্ডউইথ নেয়। যা পরের কয়েক দিনে আরও বেড়েছে। ৭ই ফেব্রুয়ারি থেকে দেয়া হয় ১০ জিবিপিএস। বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরা হয়ে পূর্বাঞ্চলীয় ‘সেভেন সিস্টার্স’খ্যাত সাত রাজ্যের জন্য এ ব্যান্ডউইথ নিচ্ছে ভারত।
এ প্রসঙ্গে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম মানবজমিনকে বলেন, প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে রপ্তানির কার্যক্রম শুরু হলেও এখন আনুষ্ঠানিকভাবে হচ্ছে। মার্চের প্রথম সপ্তাহে আখাউড়ায় আমিসহ ভারতের কোনো মন্ত্রীর উপস্থিতিতে রপ্তানি নিয়ে আনুষ্ঠানিকতার আয়োজন করা হবে।
তিনি বলেন, বাড়তি ব্যান্ডউইথ রপ্তানি করাটা আমাদের জন্য বড় ধরনের সফলতা বলে মনে করি।চুক্তির আট মাস পর রপ্তানি প্রসঙ্গে বিএসসিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনোয়ার হোসেন মানবজমিনকে বলেন, বাংলাদেশ অংশের কাজ অনেক আগেই শেষ হয়। কিন্তু ভারতের দিকে কাজ শেষ হতে দেরি হয়। এরইমধ্যে বেশ কয়েকবার বিষয়টি নিয়ে চিঠি চালাচালি করা হয়। কয়েকবার দিনক্ষণ নির্ধারণ করেন দুই দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বিভিন্ন কারণে তা পেছানো হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, এ থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশের আয় হতে যাচ্ছে ৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। দুই দেশের চুক্তি অনুযায়ী ১০ জিবিপিএস (গিগাবাইট পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইথ রপ্তানি করা হবে। এক্ষেত্রে প্রতি এমবিপিএস ব্যান্ডউইথের দাম ধরা হয়েছে ১০ ডলার। রপ্তানি শুরুর পরে পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে ব্যান্ডউইথ বাড়ানোর ব্যবস্থা করা হতে পারে বলেও চুক্তিতে উল্লেখ আছে। বর্তমানে সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানির হাতে আছে ২০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ। এর মধ্যে স্থানীয় পর্যায়ে ব্যবহার হচ্ছে ৪৩ জিবিপিএস। ভারতে ১০ জিবিপিএস রপ্তানি করা হলে ব্যবহার বেড়ে দাঁড়াবে ৫৩ জিবিপিএস।
বাংলাদেশের এ ব্যান্ডউইথ ভারতের আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, মনিপুর ও অরুণাচল রাজ্যে ব্যবহৃত হবে। এর আগে ১৬ই নভেম্বর আখাউড়া-আগরতলা সীমান্তের জিরো পয়েন্টে দুই দেশের অপটিক্যাল ফাইবারের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা হয়।
বিএসসিসিএল জানিয়েছে, গত ৫ই জুন উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বিএসসিসিএলের সঙ্গে চুক্তি করে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি সঞ্চার নিগার লিমিটেড (বিএসএনএল)।
চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশ অংশে সীমান্ত পর্যন্ত ক্যাবল স্থাপনে সরকার খরচ বহন করেছে। ভারতের অংশের জন্য ভারতের প্রতিষ্ঠান খরচ বহন করেছে। এই প্রকল্পে ভারত সরকার প্রায় ২৫ কোটি টাকা ব্যয় করে অবকাঠামো নির্মাণ করবে বলে জানানো হয়েছে। ব্যান্ডউইথ রপ্তানির জন্য কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা এবং আখাউড়ার স্থলভাগ দিয়ে লিংক সাবমেরিন ক্যাবল গিয়ে যুক্ত হবে ভারতের গৌহাটিতে। এর জন্য নতুন করে প্রায় ৩২ কিলোমিটার নতুন লিংক লাইন তৈরি করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বংলাদেশ শিগগিরই সিমিউয়ি-৫ এর সঙ্গে যুক্ত হবে। তখন ব্যান্ডউইথের সক্ষমতা বাড়বে আরও এক হাজার ৩০০ জিবিপিএস।

সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন
0Shares

সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম

ফেসবুকে ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার