প্রচ্ছদ

যেভাবে এল প্রিজমা অ্যাপ

২৯ জুলাই ২০১৬, ০১:২৬

ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার

imageপ্রিজমা অ্যাপ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে সাধারণ ছবিকে বিখ্যাত শৈল্পিক ছবিতে রূপান্তর করে। ছবি: প্রিজমার সৌজন্যে।মাত্র মাস তিনেক আগে ২৫ বছর বয়সী আলেক্সি মসিনকভ রাশিয়ার ইন্টারনেট জায়ান্ট মেইল ডটআরউইতে কাজ করছিলেন। তাঁর মাথায় একটি অ্যাপ তৈরির ধারণা আসে, যাতে একবার স্পর্শেই ছবিকে স্টাইলিশ করে তোলা যায়। তিনি চাইছিলেন, তাঁর অ্যাপ যেন অন্যান্য ফটো সম্পাদনার অ্যাপের মতো না হয়; বরং এটি যেন ডিপ লার্নিং নামের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে মূল ছবি থেকে পৃথক আরেকটি ছবি বানিয়ে দিতে পারে।

ওপেন সোর্স কোড ব্যবহার করে মসিনকভ ও তাঁর সহকর্মীরা মিলে অ্যাপটি তৈরি করলেন, যাতে সেকেন্ডের মধ্যেই একটি আর্টওয়ার্ক বা শিল্পকর্ম হিসেবে ফুটিয়ে তুলতে পারে।

মসিনকভ বলেন, ‘ধারণা হিসেবে শুরু হয়েছিল। বড় কোনো ব্যবসা পরিকল্পনা ছিল না। আমরা শুধু চেয়েছিলাম, মানুষ যাতে এটি ব্যবহার করে সুন্দর ছবি তৈরি করতে পারে।’

অ্যাপ তৈরির দুই মাস পরই মসিনকভকে চাকরি ছেড়ে এই অ্যাপের পেছনে সময় দিতে হয়। সেই সঙ্গে অ্যাপটিও দারুণ সাড়া ফেলে।

শুরুতে আইওএস সংস্করণের জন্য এটি উন্মুক্ত করা হলে মাত্র পাঁচ সপ্তাহে এটি এক কোটি বার ডাউনলোড হয়। ৫৪টি দেশে ফটো অ্যান্ড ভিডিও অ্যাপ চার্টে শীর্ষে চলে আসে অ্যাপটি। এ ছাড়া ১২টি দেশে ১ নম্বর অ্যাপ হিসেবে জায়গা করে নেয় প্রিজমা।

মসিনকভ বলেন, এত দ্রুত সময়ে এত ব্যবহারকারী বাড়বে, তা কেউ আশা করেনি। তিনি ও তাঁর নয় সদস্যের দলটি মস্কোতে বসে নিউরাল নেটওয়ার্ক নিয়ে গবেষণা করে অ্যাপটি চালু করেন।

এখনো অ্যাপটি প্রাথমিক অবস্থায় আছে। প্রিজমার নির্মাতা দলটি এ অ্যাপটি নিয়ে আরও বিশদ পরিকল্পনা করছে। সম্প্রতি অ্যান্ড্রয়েড সংস্করণের জন্য একটি পরীক্ষামূলক সংস্করণ চালু করেছেন মসিনকভের দলটি। শিগগিরই ভিডিওতে এ সুবিধা চালু হবে। শিগগিরই আরও মজাদার কিছু ফিচার উন্মুক্ত করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।

ইতিমধ্যে বিনা মূল্যের অ্যাপটি কাজে লাগিয়ে অর্থ আয়ও শুরু করেছেন মসিনকভ। স্পনসর থেকে অর্থ আয় করছেন তিনি। মসিনকভ ও তাঁর দল এখন সিলিকনভ্যালিতে যাত্রার চেষ্টা চালাচ্ছেন।

সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন
0Shares

সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম

ফেসবুকে ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার