প্রচ্ছদ

ঢাকা-সিলেট-তামাবিল সড়ক চারলেন হবে : আইইবি’র সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী

০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ২৩:৫৮

ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার

file (1)রোববার, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ॥ ঢাকা-সিলেট-তামাবিল সড়ক চারলেনে উন্নীত করা হবে বলে ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার ঢাকায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশের (আইইবি) ৫৬তম সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের উন্নয়নের বিবরণ তুলে ধরে ঢাকা-সিলেট-তামাবিল সড়কও চারলেনে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

নিজের জেলা গোপালগঞ্জের কয়েকটি প্রকল্প নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এলাকায় কোনো কাজে ‘বেশি বেশি’ করার আদিখ্যেতা না দেখাতে প্রকৌশলীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন শেখ হাসিনা। “এই আদিখ্যেতাটা ভালো না যে প্রধানমন্ত্রীর জায়গা বলে বেশি করে ঢেলে দাও,” বলেছেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, “এক সময় কিছুই পেতাম না। সারাজীবন বঞ্চিত ছিলাম। আর এখন পাওয়ার ধাক্কা সামাল দিতে আমার কষ্ট হচ্ছে। আমি সবাইকে মানা করছি। আপনাদের এত লাগবে না, যেটুকু লাগবে, সেটুকু করতে হবে।”

শেখ হাসিনা বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর এলাকায় যা কিছু করতে হবে একটু বেশি বেশি করতে হবে-এই চিন্তাটা পরিহার করতে হবে। “বেশি বেশি করতে গিয়ে সবকিছু নষ্ট করে দেবেন না দয়া করে। আমার এলাকার পরিবেশটা যেন নষ্ট না হয়।” গোপালগঞ্জের জলাভূমিতে স্লুইস গেইট নির্মাণে পরিকল্পনাহীনতার ‘তিক্ত অভিজ্ঞতার’ বিষয়টি উঠে আসে শেখ হাসিনার কথায়। “আমার এলাকা, বিল, হাওর-বাঁওড় এলাকা। সেখানে একটা বিল বা খালের পাড়ে বাঁধ কত ফুট উঁচু লাগে? চার, পাঁচ ফুট বা তিন ফুট উঁচু হলেই তো যথেষ্ট। সেখানে তো সাত ফিট, আট ফিট বা চৌদ্দ ফিট উঁচু বাঁধের কোনো প্রয়োজন হয় না। অহেতুক এই খরচ কেন?”

নিজের শৈশব স্মৃতি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “যে খালটা যুগ যুগ ধরে আমি দেখছি, জোয়ার-ভাটা হয়। সেই খালের দুই মাথায় স্লুইস গেইট লাগানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই। ওই খাল তো কখনও কোনো ক্ষতি করে না। “হঠাৎ দেখলাম সেখানে বিরাট প্রকল্প নেওয়া হল। এই ধরনের পরিকল্পনা কেন নেওয়া হবে? এই ধরনের পরিকল্পনা পরিহার করতে হবে।”

সারাদেশে এ পর্যন্ত কতগুলো স্লুইস গেইট ও বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে এবং তার ফলাফলটা কী- সে মূল্যায়ন করতে প্রকৌশলীদের পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। “ওই বেড়িবাঁধ দিয়ে কতটুকু আমি ধান উঠাচ্ছি আর বিনিময়ে ওটার মেরামতে প্রতিবছর কত খরচ হচ্ছে এবং ওইটার কারণে অন্য জায়গার জলাবদ্ধতা, জমি নষ্ট এবং নদী ভাঙন সৃষ্টি (হচ্ছে)।” এভাবে প্রকল্প নেওয়ার সময় অর্থ অপচয় বন্ধ করে সেবার মান বাড়ানোর উপর গুরুত্ব দেন সরকার প্রধান। প্রত্যেক উপজেলার উন্নয়নে একটা মহাপরিকল্পনা (মাস্টার প্ল্যান) করার ও উপরও জোর দেন তিনি।

রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রকৌশলে অবদান রাখার জন্য দুজন প্রকৌশলীকে ‘আইবি-২০১৫ স্বর্ণপদক’ দেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে আইবির নতুন ১৫ তলা ভবনও উদ্বোধন করেন তিনি।

সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন
0Shares

সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম

ফেসবুকে ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার