প্রচ্ছদ

শেরপুর-লামা তাজপুর-দক্ষিণ কালনীচর সড়ক সংস্কারের দাবি জানালেন লন্ডন প্রবাসী গোলাম রাব্বানী

০৪ মে ২০২৫, ০২:৩২

ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার

ডেস্ক ::: শেরপুর হাইওয়ে থেকে লামা তাজপুর হয়ে দক্ষিণ কালনীচর পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার সড়ক দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার ও পাকাকরণের অভাবে চরম বেহাল অবস্থায় রয়েছে। সড়কটি সংযোগ স্থাপন করে আশপাশের ৮-১০টি গ্রামের সঙ্গে, যার ওপর নির্ভরশীল হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত ও দৈনন্দিন জীবন।

ইংল্যান্ড প্রবাসী গোলাম রাব্বানী এই সড়কের দ্রুত সংস্কার ও পাকাকরণের দাবি জানিয়ে বলেন, “বছরের পর বছর ধরে এই এলাকার মানুষ রাস্তার অভাবে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, কৃষিসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “সড়কটির অবস্থা এমন যে, সামান্য বৃষ্টিতেই তা কাদায় পরিণত হয়। হেঁটে চলাফেলা করা যায় না, গাড়ি চলাচল তো দূরের কথা, কোথাও কোথাও নৌকাও চলতে পারে না।”

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শেরপুর হাইওয়ে থেকে লামা তাজপুর হয়ে দক্ষিণ কালনীচর পর্যন্ত সড়কটি পাকাকরণের জন্য দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসী দাবি জানিয়ে আসছে। কয়েক বছর আগে ২ কিলোমিটার সড়কের কাজ কোনোমতে শেষ হলেও বাকি অংশের কাজ অনুদান বা বরাদ্দের অভাবে বন্ধ হয়ে আছে।

বিশেষ করে ২ নম্বর সাদিপুর ইউনিয়নের অধীনস্থ হলেও সড়কটি ব্যবহার করে নবীগঞ্জ উপজেলার ৪ নম্বর দীঘলবাক ইউনিয়নের অন্তর্গত দুটি গ্রামের বাসিন্দারা। ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষ প্রতিদিন সীমাহীন দুর্ভোগে পড়ছে। অনেক সময় অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হয় না সময়মতো, যার ফলে জীবনের ঝুঁকি বাড়ছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, বারবার জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি। আশ্বাস মিললেও কাজ হয়নি। এদিকে সিলেট বিভাগে সড়ক উন্নয়নের জন্য সরকার বরাদ্দ দিচ্ছে, কিন্তু এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি এখনও উন্নয়নের বাইরে।

প্রবাসী গোলাম রাব্বানী বলেন, “আমি একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা ও দেশের নাগরিক হিসেবে সরকারের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি—এই রাস্তাটির উন্নয়ন কাজ দ্রুত শুরু করা হোক। এটি বাস্তবায়ন হলে হাজার হাজার মানুষ উপকৃত হবে।”

তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন লন্ডনের প্রবাসী কমিউনিটির প্রতি, যারা বারবার বিষয়টি তুলে ধরেছেন এবং জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আসছেন। বিশেষভাবে তিনি উল্লেখ করেন মাধবপুর ও গালিমপুর গ্রামের প্রবাসী ব্যক্তিত্বদের নাম, যাঁদের মধ্যে রয়েছেন আনছার, ছানাওয়ার, নোমান, আবুল মনসুর চৌধুরী ছানু, দুনু, শুয়েব, মাওলানা এফ. কে. এম. শাহজাহান, গোলাম মর্তুজা, এডভোকেট জুনেদ, মাহমুদ মিয়া, বাশার, আফছর মিয়া, সাহেদ, হেলাল এবং স্থানীয় চেয়ারম্যান আহমেদ ভিপি মুসা ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আকুল মিয়াকে।

সবশেষে তিনি বলেন, “বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং ড. মোহাম্মদ ইউনুস স্যারের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন দক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করছে। আমি আশা করি, আমাদের এই দাবিটি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করা হবে। এই রাস্তাটি উন্নয়ন হলে আমরা চিরদিন কৃতজ্ঞ থাকব।”

সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম

ফেসবুকে ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার