প্রচ্ছদ

মৌলভীবাজারের সড়কগুলোর এ কি হাল!

১২ জানুয়ারি ২০১৬, ২৩:৫৬

ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার

48328মৌলভীবাজার পৌরসভার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার বেশির ভাগ সড়কই ভাঙাচোরা। সড়কের পিচ ও খোয়া উঠে অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির সময় এসব খানাখন্দে পানি জমে থাকায় সড়কগুলো দিয়ে যান চলাচল ব্যাহত হয়। এক দশকের বেশি সময় সংস্কার না করায় সড়কগুলোর এই করুণ দশা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মৌলভীবাজার শহরের কে বি আলাউদ্দিন সড়ক (মুসলিম কোয়ার্টার), ফরেস্ট অফিস রোডের পূর্বদিকে ভৈরবের থলি থেকে সৈয়ারপুর এলাকার শেষ প্রান্ত, কাশীনাথ, সৈয়ারপুর লক্ষ্মীবালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোবিন্দশ্রী, টিসি মার্কেট-শান্তিবাগ, রিয়াছত উল্লাহ সড়কের বিভিন্ন স্থানের পিচঢালাই উঠে ছোট-বড় অনেক গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

একই রকম অবস্থা শহরের মধ্যপাড়া, গোবিন্দ্রশ্রী স্কুল, কাজীরগাঁও, পূর্ব সুলতানপুর, শেখেরগাঁও, বড়হাট মাদ্রাসা, বড়বাড়ি-গোয়ালবাড়ি, কলিমাবাদ, শাহ মোস্তফা কলেজ, সরকারি কলেজ থেকে টিবি হাসপাতাল রোড পর্যন্ত টিলা বাড়ি, কোর্ট রোড থেকে মোস্তফাপুর ইউনিয়ন রোড পর্যন্ত গোয়ালবাড়ি, স্টেডিয়াম সড়ক থেকে কোদালিছড়া পদচারীসেতু পর্যন্ত ফাটাবিল, ডিসি অফিস থেকে কোদালিছড়া ব্রিজ পর্যন্ত উত্তর কলিমাবাদ সড়ক, মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ থেকে টিকরবাড়ি কোদালিছড়া কালভার্ট পর্যন্ত দক্ষিণ কলিমাবাদ, চুবড়া থেকে রঘুনন্দনপুর পর্যন্ত ব্রিকফিল্ড, কার্তিক চন্দ্র, নতুন ফরেস্ট অফিস, শান্তিবাগ এলাকার ইরেশলাল কো-অপারেটিভ, সৈয়দ মুজতবা আলী সড়ক থেকে বেরিলেক পর্যন্ত গুলবাগ, বড়হাট পুরাতন গ্যাস অফিস, চুবড়া থেকে শাহ মোস্তফা সড়ক পর্যন্ত আবু তাহির, ধরকাপন থেকে ঢাকা-সিলেট সড়ক পর্যন্ত গোবিন্দশ্রী-ধরকাপন, ধরকাপন-ফকিরবাড়ি, শাপলা ভবনসহ বিভিন্ন সড়কের।

শহরের গোবিন্দশ্রী এলাকার হাসান আহমদ রাজা বলেন, তিন-চার বছর ধরে হাজি নছিব উল্লাহ সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। রাস্তাজুড়ে অনেক গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তা দিয়ে চলাচল করার অবস্থা নেই। বৃষ্টি হলে তো চলাই যায় না।

পৌরসভার প্রকৌশল শাখা সূত্র জানায়, ২০০৪ সালের পর থেকে শহরের পাড়া-মহল্লার সড়কগুলোর আর উন্নয়নকাজ হয়নি। শহরের সাইফুর রহমান সড়ক, সৈয়দ মুজতবা আলী সড়ক ও বেরিলেক সড়কে কিছু সংস্কারকাজ করা হয়েছে। এই সড়কগুলো দিয়ে পুরো জেলার মানুষ চলাচল করে থাকে। তবে গত অক্টোবরে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ফরেস্ট অফিস সড়কের ৯০০ মিটার, পশ্চিম বাজারে কুদরত উল্লাহ ও বড়হাট-বারইকোনা সড়কে কাজ হয়েছে। এই ধাপে আরও সাতটি সড়কের সম্পূর্ণ এবং আংশিক কাজ হবে। দরপত্র আহ্বানের পর কাজের কিছুটা সংশোধনী প্রয়োজন হয়েছে। সংশোধনী অনুমোদনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পাওয়া গেলে এ সড়কগুলোর কাজ করা হবে। নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-৩-এর আওতায় আরও ২০টি সড়কের আট কোটি টাকার একটি গুচ্ছ কাজের দরপত্র আহ্বান প্রক্রিয়াধীন আছে।

সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন
0Shares

সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম

ফেসবুকে ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার